স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য [PDF] | স্বাধীনতা দিবস 2022

2.7/5 - (18 votes)

স্বাধীনতা দিবস হল ভারতীয় জনসাধারনের একটি জাতীয় দিবস। আজ আমরা এই অয়েবপেজে আমরা স্বাধীনতা দিবস (১৫ই আগস্ট) ২০২২ উপলক্ষে বক্তব্য, স্বাধীনতা দিবস ছবি ২০২২, PDF শুভেচ্ছা বার্তা কবিতা স্ট্যাটাস এবং ভারতের জাতীয় পতাকার রঙের অর্থ? কেন আমারা এই দিন পালন করি? এবং এই দিনের তাৎপর্য ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো, তবে চলুন দেখা যাক।

১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট আমরা ইংরেজদের শাসন শক্তির শাসন থেকে মুক্ত হই এবং স্বাধীনতা অর্জন করি আমরা। সেই ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রতি বছর এই দিন ১৫আগস্ট দিনটি ভারতে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা  হয়ে থাকে। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে প্রধানত অহিংস, অসহযোগ ও আইন অমান্য আন্দোলন এবং চরমপন্থী গুপ্ত রাজনৈতিক সহিংস আন্দোলনের পথে আন্দলিত এক দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পর আমাদের দেশ ইন্ডিয়া স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। 

স্বাধীনতার ঠিক আগের মুহুর্তে ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্য ধর্মের দ্বারা ভাগ করে এবং তার ফলে ভারত ও পাকিস্তান এই দুটি দেশের জন্ম ঘটে। দেশভাগের সময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির হয়। অনেক মানুষ প্রাণও হারিয়েছেন এবং ১ কোটি ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষ ঘরবাড়ি এবং জমি জায়গা হারান। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট জহরলাল নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহন করেন এবং দিল্লির লাল কেল্লার লাহোরি গেটের উপর ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তখন থেকে প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল কেল্লায় জাতীয় পতাকার উত্তোলন করেন এবং জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন।

আজকের এই দিনে ভারতবর্ষের প্অরত্রত্যেকটি গ্রাম, শহর, আদালতে, স্কুল, কলেজ, ক্লাবে ক্লাবে পালিত হচ্ছে স্বাধীনতার মহোৎসব জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে প্রতিটি ধর্মের মানুষ পালন করছে ভারতের 75 তম স্বাধীনতা দিবস 1947 সালের আজকের দিনেই অত্যাচারী ব্রিটিশদের 190 বছরের পরাধীনতার শৃংখল থেকে যে স্বাধীনতা পেয়েছি আমরা।

তার জন্য আমাদের দিতে হয়েছে সশস্ত্র বিপ্লবীদের তরতাজা প্রাণ বলিদান কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী আসমুদ্র হিমাচল এর সাথে ত্রিবর্ণ রঞ্জিত ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয় যখন স্পিকারে বেজে ওঠে – “সারে জাহা সে আচ্ছা হিন্দুস্তা হামারা” তখন প্রতিটি ভারতবাসীর শিহরিত হয়ে ওঠে এবং দেশপ্রেমের আবেগি মন আন্দোলিত হয়ে পড়ে।

ইংরেজ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করা খুব একটা সহজ গল্পের মতো ছিল না, এই স্বাধীনতা আমাদের দেশের বিপ্লবীদের এবং আমরা যদি ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখি তাহলে দেখতে পাবো- সপ্তদশ শতকে ভারতবর্ষে পর্তুগিজ এর সাথে সাথে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতবর্ষে ব্যবসা করতে এসেছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে অর্থ এবং ক্ষমতাবল ওঁ বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে সারা ভারতবর্ষের ক্ষমতা দখলের লোভে মত্ত হয়ে পড়েন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি।

1757 সালে পলাশীর যুদ্ধে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে হারিয়ে কোম্পানির শাসনের সূচনা হয় বাংলাতে এবং এরপরে 1764 খ্রিস্টাব্দে বক্সার যুদ্ধে জয়লাভের মাধ্যমে গোটা ভারতবর্ষে নিজেদের শাসনব্যবস্থা কায়েম করে নেয় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি শাসন শাসন ব্যবস্থার ভিত্তি ছিল অমানুষিক অত্যাচার এবং অকথ্য অত্যাচার হয়েছিল প্রতিটি সাধারণ মানুষ তখন প্রতিটি মানুষ যেন ইংরেজদের গোলাম ছিলনা বাকস্বাধীনতা ও অবস্থা এতটাই করুন ছিল যে একজন চাষী তার নিজের জমি নিজেদের ইচ্ছামত ছাশ-আবাদ করতে পারতো না তাদের দিয়ে জর করে নিল চাশ করানো হত।

স্বাধীনতা দিবস এর ছবি 2 1
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকার ছবি

 নিল চাষ করতে অসমর্থ হলে চলত বলপূর্বক বর্বর অত্যাচার শেষ সম্বল জমিটুকু ওঁ কেড়ে নেওয়া হত। কৃষক অনেক সময়  কর প্রদান করতে গিয়ে সর্বস্ব খুইয়ে ফেলতে হতো, সাধারণ মানুষদের জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে প্রতিটা শ্রেণীর মানুষ পরাধীন ছিল মা বোনেদের কোন সম্মান ছিল না।

একদিকে অত্যাচার এবং ও মানসিক শোষণ লাগামছাড়া ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছিল  ভারতবর্ষের সাধারণ মানুষ চুপ করে বসে থাকবে এটা কখনো সম্ভব ছিলো না। ইংরেজদের এই মাত্রা ছাড়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে থাকে একের পর এক বিপ্লবীদের সাহসিকতা শুরু হয় ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের যাত্রাপথ –1857 সালের সিপাহী বিদ্রোহের মাধ্যমে প্রথমবারের জন্য সংগঠিত হয়।

ইংরেজদের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে বিদ্রোহ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করার আগুন অনেক বিপ্লবী নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দেয় যেমন মহাবিদ্রোহ সিপাহী মঙ্গল পান্ডে, নানাসাহেব, তাতিয়া টোপি, ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈ, বীর বিক্রম, এর সাথে লড়াই করে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন এর মাধ্যমে সূচনা হয় মহান বিপ্লবী আত্মত্যাগের মহান গাধা এবং সারা ভারত জুড়ে গড়ে উঠতে থাকে অদম্য প্রতিরোধ।

আরও পড়ুন-

 সারা বিশ্ব যখন সহিংসতা তখন গান্ধী দিয়েছিলেন অহিংসার বাণী আর এই মহাত্মা গান্ধীর হাত ধরেই ভারতবর্ষে শুরু হয় অহিংস আন্দোলনে, গান্ধীজীর কথা ছিল যদি তুমি পৃথিবীতে বদলাতে চাও তবে আগে নিজেকে বদলাও, গান্ধীজীর নেতৃত্বে শুরু হিয়েছিল- অহিংস অসহযোগ আন্দোলন, আইন অমান্য আন্দোলন, ভারত ছাড়ো আন্দোলন, ডান্ডি অভিযান, ইত্যাদি ইংরেজদের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল।

সাধারণ মানুষের মনে এই আন্দোলনের ভিত্তি ছিল অপরিসীম, জোয়ার ছিল সর্বস্তরের প্রভাব বিস্তার আর অন্যদিকে চরমপন্থী বিপ্লবীরা বিশ্বাস করতেন অত্যাচারী ইংরেজ দের কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে হবে আর দেশ প্রেমের আগুনে জ্বলতে থাকা এসমস্ত বিপ্লবীদের প্রেমের আগুন এতটাই তীব্র ছিল যে হাসতে হাসতে ফাঁসির দড়ি গলায় পড়েছিল, ক্ষুদিরাম জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সব শ্রেণীর বিপ্লবীরা দিয়েছিলেন আত্মত্যাগ, মাস্টারদা সূর্যসেন লাল, বাল, পাল, বিনয়-বাদল-দীনেশ, স্যার সৈয়দ আহমেদ খান, প্রমুখ নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ আমাদের চোখে জল এনে দিতে বাধ্য করে।

স্বাধীনতা দিবস এর ছবি 9
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকার ছবি

স্বাধীনতা সংগ্রামে নারীদের অবদান ওঁ অনস্বীকার্য যেমন- প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, মাতঙ্গিনী হাজরা, কনক লতা বড়ুয়া, রানী লক্ষ্মীবাঈ, বীণা দাস, অরুন আলীসহ, বীরাঙ্গনা নারীরা নিজেদের প্রাণের বিনিময়ে দিয়েছিলেন আজকের আমাদের এই কাংখিত স্বাধীনতা যে সমস্ত নারীরা প্রত্যক্ষভাবে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেনি তাদের আত্মত্যাগ দেখার মতন, তারা প্রত্যেকেই নিজেদের ভাই স্বামী বাবা-মা ইত্যাদি প্রত্যেকটি বিসর্জন দিয়েছিল।

ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অবদান আলাদাভাবে নেতাজির স্বাধীনতা এমনি এমনি আসবে না তিনি ডাক দিয়েছিলেন তিনি বলেছিলেন- “তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব” উড়িষ্যার কটক শহরে জন্মগ্রহণ করা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মতে শত্রুর শত্রু আমার মিত্র এই নীতি অনুসরণ করে তিনি গড়ে তোলেন- আজাদ হিন্দ ফৌজ, আজাদ হিন্দ ফৌজের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করে সর্বপ্রথম করে নিয়েছিল মনিপুরের একটা অংশ, সেখানে উত্তোলিত হয় জাতীয় পতাকা সালটা ছিল 1945।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সংগ্রাম অমর গাঁথা হয়ে গিয়েছে, স্বাধীনতা সংগ্রামে গান্ধীজীর নেতৃত্বে নরমপন্থী অহিংস আন্দোলন অন্যদিকে অগণিত বিপ্লবীদের সশস্ত্র আন্দোলন ব্রিটিশ শাসনের ভিত্তি চরমভাবে নাড়িয়ে দিয়েছিল, আর এই সমস্ত বীরযোদ্ধাদের আত্মবলিদান এর ফলস্বরূপ দীর্ঘ 190 বছরের ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটে এবং 947 সালের 15 ই আগস্ট আজকের দিনে আমাদের দেশ পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে।

স্বাধীনতা দিবস এর ছবি 8 edited
ভারতমাতার ছবি

স্বাধীনতা আসলেও তার সাথে সাথে অবিভক্ত ভারতবর্ষের বুকে নেমে আসে ধর্মের ভিত্তিতে ভারত বর্ষ দুটি আলাদা আলাদা দেশ হিসেবে- পাকিস্তান নামক একটি স্বাধীন দেশ সৃষ্টি হয় আর অন্যদিকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে সারা বিশ্বের মধ্যে উত্থান হয়।

 ভারতবর্ষে দেশ স্বাধীন হলো কিন্তু বুকের মধ্যে রয়ে গেল দেশভাগের তীব্র যন্ত্রণা, 15 ই আগস্ট দিনটি একদিকে আমাদের মনে করায় অগণিত বীর শহীদের রক্তে রাঙানো স্বাধীনতা, তেমনি অন্যদিকে স্বজন হারানোর যন্ত্রণা অন্যদিকে প্রাপ্তির অসীমানন্দ সর্বস্ব হারিয়ে স্বাধীনতা আজ আমরা পেয়েছি এই স্বাধীন ভারতের নাগরিক হিসেবে আমাদের কর্তব্য স্বাধীনতাকে রক্ষা করা।

অনেকের কাছে এই স্বাধীনতা মানে যা ইচ্ছে করার অধিকার, কিন্তু বাস্তবে এই স্বাধীনতার গুরুত্ব এই স্বাধীনতা মানে আমি অন্য কারো ক্ষতি করবো সেটা নয়,  এই স্বাধীনতা ব্যক্তিগত ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের স্বাধীনতাকে রক্ষা করার নাম মনে রাখতে হবে, আমাদের এই স্বাধীনতার জন্য কোটি কোটি শহীদেরা নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে। মনে রাখতে হবে আজকের এই স্বাধীনতার বাণী আমাদের দেশের গৌরব রক্ষার জন্য ধর্মের নামে স্বার্থের নামে রাজনীতির নামে হানাহানি হিংসা বিদ্বেষ এর উপরে উঠে আমাদের সংকীর্ণতাকে ত্যাগ করে স্বাধীন হতে হবে আমাদের সংকীর্ণতার বিরুদ্ধে আমাদের স্বাধীনতা আমাদের ধর্মীয় বেড়াজালের ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের প্রমাণ করতে হবে আমাদের জন্মভূমি ভারত বর্ষ সারাবিশ্বের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম।

আজ আমরা মঙ্গল ছুঁয়েছি আজ আমরা বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে বলতে পারি আমরা ভারতীয় এবং আমরা সারা বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ দেশের স্বাধীন নাগরিক আমাদের সর্বস্ব দিয়ে দিতে হবে এটা প্রমাণ করার জন্য যে ভারতবর্ষে আবার জগত সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে।

জয় হিন্দ,
বন্দেমাতরম
ভারত মাতার জয়।

💚স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তা কবিতা স্ট্যাটাস💚

যাদের রক্ত দিয়ে লেখা
ভারতবর্ষের নাম,
তাঁদের সকলকে জানাই
আমার শতকোটি প্রণাম।
💚শুভ স্বাধীনতা দিবস ২০২২💚

আজকের এই দিনে
সেই সকল সংগ্রামী বীরদের প্রণাম জানাই
যাদের বলিদানে আজ আমরা
স্বাধীন ভাবে বাঁচতে পারছি।
💚শুভ স্বাধীনতা দিবস ২০২২💚

“স্বাধীনতা আমার জন্মগত অধিকার” 
আর সেই অধিকারকে আমি পূর্ণ মর্যাদা দেবো
একজন প্রকৃত ভারতবাসী হিসেবে। 
জয়হিন্দ!! 
শুভ হোক স্বাধীনতা দিবস ২০২২ । 
আসুন আজ আমরা একটু সময় নিয়ে 
সেই বীর বিপ্লবীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করি , 
যারা নিজেদের নিঃশেষ করে 
আমাদের হাতে তুলে দিয়েছিল স্বাধীনতার তিরঙ্গা । 
জয় হিন্দ!! বন্দে মাতরম !!

স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠান উপস্থাপনার স্ক্রিপ্ট pdf | স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য এর PDF দাউনলোড করুন

অফলাইন পড়ার সুবিধা এর জন্য আপনাদের জন্য এই অয়েব পেজটি PDF ফরম্যাট এ নিচে দেওয়া হইলো।

ভারতের জাতীয় পতাকার রঙের অর্থ

গেরুয়া রঙের বৈশিষ্ট্য : ভারতের জাতীয় পতাকার  গেরুয়া রঙ হল ত্যাগ ও বৈরাগ্যের প্রতীক। এরই মধ্যেই আমরা খুঁজে পাই স্বাধীনতা সংগ্রামী মানুষদের ত্যাগ ও বৈরাগ্যেকে।

সাদা রঙের বৈশিষ্ট্য : পতাকার সাদা রঙ হল সাদা শান্তির ও সৎপথের জীবনকে নিয়ে যাওয়ার প্রতীক।  আত্মনিয়ন্ত্রণ ও স্বভাবের পথপ্রদর্শক সত্যপথ এর আলোর প্রতীক।

সবুজ রঙের বৈশিষ্ট্য : সবুজ রঙ হল সকল প্রাণের প্রতীক। সবুজ মানেই মাটি ও ফসলকে বোঝানো হয়েছে যা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিক।

অশোক চক্রের বৈশিষ্ট্য : আমাদের জাতীয় পতাকায় চক্র হলো অনুশাসনের প্রতীক ও গতিশীলতার প্রতীক। অশোকচক্র গতিশীলতার প্রতীক এর মানে দেশ কখনো যেন থেমে না থাকে, এগিয়ে যাওয়া সামনে শুধু।

এটা হল আমাদের দেশ ভারতবর্ষ, এখানে হিন্দু মুসলিম, শিখ সমস্ত ধর্মকে সমান অধিকার দেওয়া ও সন্মান দেওয়া হয়েছে এবং এইভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

স্বাধীনতা দিবস ছবি ২০২২, স্বাধীনতা দিবসের ছবি ডাউনলোড

স্বাধীনতা দিবসের ছবি ডাউনলোডঃ- স্বাধীনতা দিবসের এই দিনে পালন করি এবং এই দিনটিতে বন্ধু-বান্ধব ও আত্মিয়স্বজনদের আমরা উইশ করার জন্য ইন্টারনেটে ছবি খুজে থাকি, তাই আপনাদের জন্য আমরা কিছু সুন্দর সুন্দর স্বাধীনতা দিবস 2022 এর ছবির কালেকশন নিয়ে হাজির হলাম।

নিচের দেওয়া যেকোনো ছবি ডাউনলোড করতে চেপে ধরে “Save image as” অপশনে ক্লিল করুন তারপর আপনার ইচ্ছেমত ব্যাবহার করুন।

স্বাধীনতা দিবস ছবি ২০২২
স্বাধীনতা দিবস ছবি ২০২২

কত তম স্বাধীনতা দিবস 2022 ভারত?

Ans: এটি ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস ২০২২ ভারতে।

2022 কত তম স্বাধীনতা দিবস ভারতের?

Ans: 2022 ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস।

স্বাধীনতার ৭৫ বছর রচনা?

Ans: আমাদের এই অয়েবপেজে স্বাধীনতার ৭৫ তম বছর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হইলো।

আমাদের এই স্বাধীনতা দিবসের এর ছোট প্রতিবেদন কেমন লাগলো আপনাদের? আশা করি ভালো লেগেছে? যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

এবং যদি আপনাদের কোনো সাজেশন থাকে অথবা কোনো ভালো স্ট্যাটাস বা অয়েবসাইটে লিস্ট করাতে চান সেটিও আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না,আমাদের ওয়েবসাইট ফিউচার বাংলা ডট কম এ ভিসিট করবার জন্য ধন্যবাদ,ভালো থাকবেন।

Source

1 thought on “স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য [PDF] | স্বাধীনতা দিবস 2022”

Leave a Comment